ব্রেকিং নিউজ
মাদারীপুরে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

মাদারীপুরে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

মাদারীপুরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান। মঙ্গলবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পক্ষে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন, গত ৩১ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘মাদারীপুরে গ্রামপুলিশ নিয়োগে জালসনদ ব্যবহার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে উল্লেখ করা হয় মোটা অংকের ঘুষ লেনদেন হয়েছে। সেখানে কি পরিমান ঘুষ লেনদেন হয়েছে বা কাকে কত টাকা ঘুষ দেয়া হয়েছে তার কোন বিস্তারিত বিবরণ নেই। ফলে এটি শুধু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও নিয়োগ বোর্ড কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আরো দাবী করেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সাথে হয়েছে। এর সাথে কোন দুর্নীতি হয়নি। বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তেরও দাবী জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিক, ছিলারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম বাবুল সরদার, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্সী ও কুনিয়া ইউনিয়নের সচিব অরুণ বৈদ্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মাদারীপুর সদর উপজেলায় ১২ জন গ্রামপুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়। সেখানে অনুমোদনকারী ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস। এছাড়া সার্টিফিকেট ও সনদসহ অন্য কাগজপত্র যাছাই-বাছাই ও সুপারিশ বোর্ডের প্রধান ছিলেন উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর ই আলম। এখানে মস্তফাপুর ইউনিয়নে ১ জন, খোয়াজপুর ইউনিয়নে ৩ জন, কুনিয়া ইউনিয়নে ২ জন, ছিলারচর ইউনিয়নে ২ জন, কালিকাপুর ইউনিয়নে ১ জন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ১ জন, পেয়ারপুর ইউনিয়নে ১ জন ও দুখখালী ইউনিয়নে একজন গ্রামপুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়। এই গ্রামপুলিশ নিয়োগে বয়স প্রমানের জন্য জন্মসনদ দেয় ইউনিয়ন পরিষদ ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন স্কুল বা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এদিকে ভুয়া জন্মসনদ ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠায় ইতোমধ্যে দুধখালী ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত গ্রামপুলিশের নিয়োগ বাতিল করেছে উপজেলা প্রশাসন।

---------